যুক্তরাজ্যের শ্রপশায়ারে মাটির নিচে একটি সোনার খণ্ড (গোল্ড নাগেট) পাওয়া গেছে। এটি যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় সোনার খণ্ড।
গত ৩৫ বছর ধরে ধাতব বস্তু শনাক্তের কাজ করছেন রিচার্ড ব্রোক। তিনিই এ সোনার খণ্ডটি খুঁজে পেয়েছেন।
ঘটনাটি গত মে মাসের। ৬৭ বছর বয়সী ব্রোক তাঁর সমারসেটের বাড়ি থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দূরত্বে শ্রপশায়ার হিলস এলাকায় যান। সেখানে একটি কৃষিজমিতে গুপ্তধন খোঁজার জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। তবে ওই কৃষিজমিতে ব্রোকের পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। ধাতব বস্তু শনাক্তের জন্য তাঁর কাছে থাকা কিটটিও নষ্ট ছিল। এমন অবস্থায় ব্রোক একটি পুরোনো যন্ত্র দিয়ে কাজ করতে বাধ্য হন। সেটিও ঠিকঠাক কাজ করছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্র দিয়েই সোনার খণ্ডটি শনাক্ত করেন ব্রোক।
ব্রোক বলেন, ‘আমি আসলে এক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছেছিলাম। ভাবছিলাম আমি তো কাজটিতে অংশ নিতে পারলাম না।’
ব্রোক আরও বলেন, সেখানকার সবার কাছে অত্যাধুনিক যন্ত্র ছিল। আর তাঁর কাছে তিনটি পুরোনো যন্ত্র ছিল। ব্রোক যে শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে কাজ করেছেন, সেটির ডিসপ্লে ঘোলা ছিল।
শুরুতে ব্রোক তাঁবুর কয়েকটি মরিচা ধরা খুঁটি শনাক্ত করেন।
মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় মাটির নিচ থেকে ৬৪ দশমিক ৮ গ্রাম ওজনের একটি সোনার খণ্ড বের হয়ে আসে। এটি মাটির নিচে প্রায় ১৩-১৫ সেন্টিমিটার গভীরে ছিল। উদ্ধার হওয়া সোনা খণ্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে হিরোস নাগেট। এটি এখন নিলামে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নিলামে কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড মূল্যে এটি বিক্রি হবে।
ব্রোক বলেন, আমি যে যন্ত্রটি ব্যবহার করছি, তা খুব একটা কাজের না। কোনোরকমে ঠেলেঠুলে কাজ সারানো যায়।
তবে ব্রোক মনে করেন, এ ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেছে যে কী যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তা বড় বিষয় নয়। কেউ যদি মাটির ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকেন এবং মাটির নিচে কী লুকিয়ে আছে তা বুঝতে পারেন, তবে তা থেকে বড় কিছু ঘটে যেতে পারে।